|
ভারতে মুসলমানদের মুখোমুখী |
|
|
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Monday, 25 April 2011 10:40 |
ভারতে গিয়ে সেদেশের মুসলমানদের দেখার ইচ্ছাটি ছিল আমার বহু দিনের। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে ভারতীয় মুসলমানদের নাড়ীর সংযোগটি প্রায় ৮শত বছরের। মুসলিম রূপে আমাদের পরস্পরের যে আত্মার সম্পর্ক, সেটি সহজে বিচ্ছিন্ন হবার নয়। ইসলামের এটিই আন্তর্জাতিক ভাতৃত্বের বন্ধন। সে বন্ধন বিশ্বের সকল মুসলমানদের সাথে। ঈমান থাকলে সে বন্ধন থাকবেই। না থাকলে সেটি হবে ঈমানহীনতা। ভারতে আমি একাধিকবার গিয়েছি।তবে সেটি মোম্বাই এবং পশ্চিম বাংলার মূর্শিদাবাদ ও কোলকাতাতে। এবং সেটিও স্বল্প সমযের জন্য। ফলে বিশাল ভারতের অন্যান্য এলাকার সাধারণ মুসলমানদের মুখোমুখি হয়ে তাদের হাল-হাকিকত জানার তেমন ফুরসত খুব একটা ঘটেনি। সে সুযোগটি আসে ১৯৯৬ সালে।
|
Last Updated on Monday, 25 April 2011 10:46 |
Read more...
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Thursday, 31 March 2011 22:03 |
ইংরাজীতে ‘কালচারাল শক’ বলে একটা কথা আছে। সেটি তখন ঘটে যখন কোন ব্যক্তি এমন কিছু দেখে যা সে জীবনে কোন দিন দেখেনি বা করেনি। মানুষ বেদনায় চিৎকার করে ‘বৈদ্যুতিক শক’য়ে। আর ‘কালচারাল শক’য়ে বিস্ময়ে আঁতকে উঠে তার মন। সেটি ঘটে অভাবনীয় কিছু দেখার বিস্ময়ে। ইরানে আমার এমন বিস্ময় বহু বার বহু বিষয়ে হয়েছে। এখানে তারই কিছু বিবরণ দিব। তবে তার আগে এক ইরানী মহিলার কালচারাল শকের কাহিনীটি বলবো। তার জীবনে সেটি ঘটেছিল বাংলাদেশে গিয়ে। তিনি বিয়ে করেছিলেন ইরানে কর্মরত একজন বাংলাদেশী ডা্ক্তারকে। উক্ত ডাক্তারের সাথে আমার দেখা হয় উত্তর তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে। সাথে ছিল তার ইরানী সেই স্ত্রী। পাসপোর্ট নবায়নসহ নানা কাজে আমাদের দূতাবাসে যেত হত। তাঁকেও হয়ত তেমনই কোন কাজে দূতাবাসে আসতে হয়েছে। প্রবাস জীবনে দেশী মানেই আপন মনে হয়। তাই পরস্পরে আন্তরিক হতে সময় লাগে না। ‘দেশের বাড়ী কোথায়’ -এরূপ কিছু আলাপ-পরিচয়ের পর আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনার স্ত্রীকে কি বাংলাদেশে বেড়াতে নিয়েছেন।” ডাক্তার সাহেব হাঁ সূচক জবাব দিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, “বাংলাদেশে আপনার স্ত্রীর কি বিস্ময়কর কিছু লেগেছে?” আমার প্রশ্নে ভদ্রলোক প্রথমে কিছুটা ভড়কে গেলেন। একটু থেমে বল্লেন, “আমার বউয়ের কাছে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে রাস্তার পাশে, দেয়ালের ধারে হঠাৎ একজন দাঁড়িয়ে পেশাব-ত্যাগে লেগে গেল। পাশের নারী-পুরুষ কারো প্রতিই কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।” তাঁর উত্তর শুনে আমার কাছে সেটি অস্বাভাবিক মনে হয়নি। হয়ত তার স্ত্রীর অনেক কালচারাল শকের ঘটনাই ঘটে থাকবে তবে আমি আর বেশী খুঁটিয়ে জানতে চাইনি।
|
Last Updated on Monday, 25 April 2011 10:35 |
Read more...
|
|
শেখ মুজিবের সাথে কিছুক্ষণের স্মৃতি |
|
|
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Saturday, 23 April 2011 20:17 |
১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ। পরন্ত বিকেলে কয়েক জন বন্ধুর সাথে ঢাকার ইসলামপুর রোডে ফুটপাথে ঘুরছি। দোকানে দোকানে তখন কেনাকাটার ভীড়। এমন সময় পাশ থেকে হঠাৎ আমার নাম ধরে ডাকার আওয়াজ। আমি এসেছি মফস্বলের গ্রাম থেকে। ঢাকায় বন্ধু-বান্ধব তেমন নেই। ফলে রাস্তার ফুটপাথে আমাকে কেউ এভাবে ডাকবেন সেটি ছিল অভাবিত। বিস্ময়ে চোখ ফিরালাম। দেখি আমাদের এলাকার অতি পরিচিত ডাক্তার। তিনি আমাদের পারিবারীক চিকিৎস্যকও। বেশ অমায়ীক মানুষ। তখন এমবিবিএস ও এল এম এফের পাশাপাশী ন্যাশন্যাল পাশ ডাক্তারও গ্রাম এলাকায় দেখা যেত। তিনি ছিলেন শেষাক্ত শ্রেনীর। আমার চাচার তিনি ছিলেন অতি ঘনিষ্ট বন্ধু। ডাক্তারীর পাশাপাশি তিনি রাজনীতি করতেন এবং ছিলেন আওয়ামী লীগের থানা পর্যায়ের একজন নেতা।
|
Last Updated on Monday, 25 April 2011 10:30 |
Read more...
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Tuesday, 30 November 2010 19:52 |
ইরানে পৌঁছি ১৯৮০ সালের মে মাসে এবং দেশে ফিরি ১৯৯০ সালের জুনে। পুরো দশটি বছর কাটিয়েছি। এর মধ্যে বহুবার আশা যাওয়া করেছি। তখন সারা দুনিয়ার মানুষের নজর ইরানের দিকে। কারণ, দেশটিতে তখন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে গেছে। প্রতিদেশের পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টিভিতে ইরানের খবর তখন লাগাতর শিরোনাম পাচ্ছে। যথন দেশে বেড়াতে আসতাম নানা মানুষ তখন নানা ধরণের প্রশ্ন করত। ইরান সম্মদ্ধে জানতে তারা যে কতটা উৎস্যুক ছিল সেটি বুঝতাম তাদের জানার আগ্রহ ও প্রশ্নের ধরণ থেকে। ইরানের বিরুদ্ধে তখন পাশ্চাত্য মিডিয়ার মাধ্যমে এত বেশী মিথ্যা প্রচার হয়েছে যে দেশটি সম্মদ্ধে সঠিক খবর পাওয়াই অসম্ভব ছিল। সবাই জানতে চেত ইরানের বিপ্লব, ইরানর মানুষ ও সে দেশের নেতা ইমাম খোমেনী সম্মদ্ধে। দীর্ঘ এ দশটি বছর ডাক্তার রূপে কাজ করেছি ইরান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে। কর্মস্থল ছিল তেহরান থেকে মাত্র ১০৫ কিলোমিটার দূরে গরমসার নামক জেলাশহরে। ফলে তেহরানে যাওয়া আসা হত খুব ঘন ঘন। প্রায় ৮ বছর কাজ করেছি ঐ জেলার সদর হাসপাতালে। একই জেলারই গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করেছি প্রায় ২ বছর। ইরান তখন ইসলামী বিপ্লবের দেশ। এ বিপ্লবের শুরু ১৯৭৯ সালের নভেম্বের মহম্মদ রেজা শাহের রাজতন্ত্র উৎখাতের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ এ দশটি বছর ইরানে অবস্থান কালে অতি কাছে থেকে ইরান, ইরান বিপ্লব ও ইরানের মানুষদের দেখার সুযোগ পেয়ছি। আমার জীবনের এ এক লম্বা ও বিচিত্র অভিজ্ঞতা।
|
Last Updated on Monday, 25 April 2011 10:37 |
Read more...
|
|
|
|
<< Start < Prev 1 2 Next > End >>
|
Page 1 of 2 |
ইরানের স্মৃতি নিয়ে আপনার এ লেখাটাও ভাল লাগল। ইরান নিয়ে আরো লেখা চাই।